প্রকল্প পরিচিতি
“এগ্রোবাংলা ইকো-সিটি” একটি পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর সন্নিকটে ব্রহ্মপুত্র ‘নদের তীর সংলগ্ন এক নিবিড় প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রকল্পের অবস্থান। প্রকল্পের উত্তরপার্শে ওয়াটার রিটেনশন এর জন্য নির্ধারিত লেক ও ‘সবুজায়ন প্রকল্প এবং দক্ষিন ও পূর্বদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ যা “এগ্রোবাংলা ইকো-সিটি” কে মনোরম, নয়নভিরাম এবং পরিবেশ বান্ধব করে তুলবে। এগ্রোবাংলা ময়মনসিংহের একমাত্র পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প যা একুশ শতকের নাগরিক জীবনের সকল চাহিদা পূরণে সক্ষম।
ময়মনসিংহের গুরুত্ব
এক সময়ে বাংলাদেশের ১৭ জেলার অন্যতম ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষানগরী হিসেবে খ্যাতি থাকলেও আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে ময়মনসিংহ একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে উননয়ন লাভ করছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ বাংলাদেশের অষ্টম বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত । ময়মনসিংহ ‘পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির সিটি কর্পোরেশন এ উন্নয়ন করা হয়েছে যা ঢ ১০টি ইউনিয়ন ব্যাপী। বয়ড়া, দাপুনিয়া, গাঘড়া, আকুয়া, ভাবখালী, চরনিলুকিয়া, খাগডহর, ভাংনামারী, সিত্রা ও চরইশ্বরদিয়া সমন্নয়ে । বর্তমান সরকারের পরিকল্পনায় ময়মনসিংহকে সেকেন্ড ক্যাপিটাল হিসেবে উন্নয়ন করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে উহার অবকাঠামোগত উন্নয়নের এক বিশাল পরিকল্পনায় সাধারণ সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যাবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সম্পদও ঝুকি এবং বন্যা, খড়া ও ভূমিকম্প উদ্ধার মোকাবেলা প্রভৃতি ব্যবস্থাপনা সহজতর করার লক্ষ্য কৌশলগত পরিকল্পনা (এমএসডিপি) ময়মনসিংহ ট্ট্যাডিজিক ডেভেলমমেন্ট প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।
(এমএসডিপি) কল্যাণে আজকের ময়মনসিংহের চেহারা শুধু স্বপ্ন হয়েই থাকবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ময়মনসিংহ সিটির চেহারা এবং আয়তন হবে আজকের চেয়ে ভিন্ন রকম। এই শহরে বিভাগীয় দপ্তর ছাড়াও শিক্ষা বিভাগীয় সার্কিট হাউজ, আইটি পার্ক, বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ শাখা, শিশু হাসপাতাল, পার্ক, শিশু ব্লক, স্বাস্থ্য ব্লক, বিশাল লেক, পর্যটন কেন্দ্র, ট্রেড সেন্টার, এয়ারপোর্ট, রিজিওনাল পার্ক, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল জোন, কমার্শিয়াল জোন, সু-প্রশস্ত রাস্তা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নতুন আরও তিনটি ব্রীজ নির্মাণ করা, যা পরিবেশ বান্ধৰ ও দৃষ্টিনন্দন হবে।
প্রশাসকিভাবে ময়মনসিংহ বিভাগে শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর ও ময়মনসিংহ এই চারটি জেলা নিয়ে গঠিত হলেও বাস্তবিকভাবে এর পরিধি হচ্ছে অনেক বড়, শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ সদর । এই বিশাল এলকার জনসাধারনের শিক্ষা-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সামাজিকতা, আঞ্চলিকতা, রুচিবোধ তথা জীবনধারা সহস্র বছরের এক অবিচ্ছেদ্য বিনা সূতার মালা । তাই এই বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রতিটি জেলার মানুষেরই লক্ষ্য ময়মনসিংহকে ঘিরে, তাদের উন্নয়ণ, শিক্ষা, আবাসন কখনো জেলা শহরে আবদ্ধ করে রাখতে পারেনা।
প্রকল্পের যোগাযোগ
ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে হতে ১০০ ফুট প্রসন্ত বাইপাস সড়ক যা শুম্ভগঞ্জ সংযোগ হবে, ইহা প্রকল্প সংলগ্ন হয়ে প্রবাহিত । যে রাস্তায় শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের সমস্ত গাড়িগুলো যাতায়াত করবে। প্রকল্পের উপর দিয়ে অপর একটি ৭৫ ফুট প্রশস্ত রাস্তা যা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে শহরে প্রবেশ করেছে। উল্লেখিত দুটি রাস্তা (এমএসডিপি) ময়মনসিংহ ট্ট্যাডিজিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান রয়েছে। প্রকল্প হতে ২০ টাকা ভাড়ায় ইজি বাইকে ব্রীজমোড় এবং গাংগিনারপাড় যাতায়াত করা যায়। রাস্তাঃ “এগ্রোবাংলা ইকো-সিটি” প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ৬০ ফুট, ৪০ ফুট, ৩০ ফুট, ২৫ ফুট ও ২০ ফুট করে।